বরইকান্দিতে স্মরণকালের ভয়াবহ সংঘর্ষ:: দুইদিনের সংঘর্ষে নিহত দুই, আহত অর্ধশত।

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৭ সেপ্টে ২০১৮ ০৩:০৯

বরইকান্দিতে স্মরণকালের ভয়াবহ সংঘর্ষ:: দুইদিনের সংঘর্ষে নিহত দুই, আহত অর্ধশত।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশসহ ৪২ জন আহত হয়েছেন। ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে দুটি বিবাদমান গ্রোপের সংঘর্ষের জেরে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর এবং ছাত্রলীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে শুক্রবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

সভা পরিচালনা করছিলেন হাবিবের অনুসারী এক নেতা গৌছ মিয়া। তিনি উপস্থিত অতিথিদের নাম উল্লেখ করার সময় সিনিয়র-জুনিয়র প্রটোকল মানছিলেন না। এসময় এমপি সামাদের অনুসারী ভোলাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ আলফু ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমদ বিষয়টি নিয়ে সভা পরিচালনাকারীকে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে সংঘর্ষটি দুটি গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ৬ সেপ্টেম্বর বরইকান্দি ৩ নং এবং বরইকান্দি ১০ রোডের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়। উভয়গ্রামের প্রায় দুইশতাধিক লোকজন দা, লাটি, খুন্তি এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভোর থেকেই মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দূপুর ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় আক্রমণ পাল্টা আক্রমনে রক্তের স্রোত বয় গ্রামজুড়ে৷ দুইঘন্টা চেস্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। এতে এখন পর্যন্ত ২ জন নিহত ও পুলিশ সহ ৪৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, মাসুক মিয়া(৩৫) এবং বাবুল আহমদ(৩২)। বাকিদের ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১০/১২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

এদিকে গৌছ মিয়া ও আব্দুল ওয়াদুদ আলফু বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধায় উভয়পক্ষের প্রায় ১৫০ জনের বিরোদ্ধে পল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন৷ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খয়রুল ফজল প্রতিবেদককে মামলার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, অবিলম্বে তদন্তসাপেক্ষে ঘঠনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে৷