বায়ার্নের কোচ হচ্ছেন কোম্পানি!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ১১:০৫

বায়ার্নের কোচ হচ্ছেন কোম্পানি!

নিউজ ডেস্ক: কেবল সম্ভাব্য কোচোর আলোচনা–ই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব বার্নলির দায়িত্বে থাকা সাবেক এই বেলজিয়াম তারকার সঙ্গে নাকি বাভারিয়ানদের মৌখিক চুক্তিও হয়ে গেছে। এমন দাবি করেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড ও ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও। গার্ডিয়ান বলছে, বার্নলি ও বায়ার্নের মধ্যকার আলোচনা উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার কোম্পানিকে আগে ছেড়ে দেওয়ার জেরে ক্ষতিপূরণ নিয়েও কথা বলেছে বার্নলির মালিক অ্যালান পেস। সপ্তাহ শেষেই এ নিয়ে দু’পক্ষ চুক্তি সেরে ফেলতে পারে।

এদিকে, বিল্ডের দাবি– মিউনিখের ক্লাবটির সঙ্গে বার্নলির মুখোমুখি চুক্তি হয়ে গেছে, যেখানে বায়ার্নের দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী কোম্পানিকে। বার্নলির সঙ্গে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে বেলজিয়ামের এই সাবেক ফুটবলারের। সে কারণে মাঝপথেই কোম্পানিকে ছেড়ে দিতে হলে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি চায় বার্নলি। যদিও তার অধীনে এবার ক্লাবটি প্রিমিয়ার লিগের রেলিগেশনে নেমে গেছে।

এর আগে বায়ার্ন বায়ার লেভারকুসেনের জাবি আলোনসোকে কোচ বানানোর জন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন এই মুহূর্তে কোথাও যেতে চান না লেভারকুসেনের হয়ে ইতিহাস গড়া এই স্প্যানিশ কোচ। এর আগে মৌসুমের মাঝপথে জুলিয়ান নাগালসম্যানকে সরিয়ে বায়ার্ন দায়িত্ব দেয় টুখেলকে। যার অধীনে এ মৌসুমে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি বায়ার্ন। ১১ বছর পর ক্লাবটি বুন্দেসলিগা শিরোপা ধরে রাখতেও ব্যর্থ হয়। মৌসুমজুড়ে ক্লাবটির পারফরম্যান্স ছিল প্রত্যাশার অনেক নিচে। গত ফেব্রুয়ারিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩ ম্যাচ হারের পরেই বায়ার্ন ঘোষণা দেয় মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়বেন টুখেল।

উল্লেখ্য, বেলজিয়ামের সাবেক ডিফেন্ডার কোম্পানি জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার সিটিকে এক সময় মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকি সিটির খেলোয়াড় হিসেবে ১১ মৌসুমে ১২টি ট্রফি জিতেছেন কোম্পানি। পরে সিটি ছেড়ে ২০১৯ সালে ফিরে যান কৈশোরের ক্লাব আন্ডারলেখটে। খেলোয়াড়ী জীবনে ইতি টেনে ক্লাবটিরই কোচের দায়িত্ব নেন।

তবে ২০২২ সালে বার্নলি কোচের দায়িত্ব নিয়ে ইংলিশ ফুটবলে ফেরেন কোম্পানি। মাঝারি মানের দলটির কোচ হয়ে অম্লমধুর অভিজ্ঞতাই হয়েছে কোম্পানির। ২০২২-২৩ মৌসুমে তার অধীন চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসে বার্নলি। এক মৌসুম যেতেই তারা আবার দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে।