‘শেখ হাসিনার কাছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থান অনেক উচ্চতায়’

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪ ১০:০৬

‘শেখ হাসিনার কাছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অবস্থান অনেক উচ্চতায়’

নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু হত্যার সশস্ত্র প্রতিবাদকারীদের সংগঠন প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি প্রয়াত মানু মজুমদারের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভাটি আয়োজন করে প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি শেখ হাসিনার যে দায়িত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধের জায়গা থেকে মানু মজুমদার সংসদ সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা তুলে ধরেছেন। প্রতীকী অর্থে মানু মজুমদার ছিলেন আপনাদের (প্রতিরোধ যোদ্ধা) প্রতিনিধি।

তিনি বলেন, একজন আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে, কর্মী হিসেবে মানু মজুমদার সুবেদিত ছিল। তিনি ছিলেন জাতির পিতার একজন আদর্শ কর্মী। জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি তার জীবনকে মৃত্যুর মুখে দাঁড় করিয়ে আপস করেননি। জাতির পিতা হত্যাকারীর খুনি জিয়া- মুস্তাককে নির্মূল করার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়ে তারা প্রতিরোধ করেছিল।

তিনি আরও বলেন, মানু মজুমদারের ভেতরে কোনো লোভ কাজ ছিল না। জাতির পিতার আদর্শের শেখ হাসিনার নেতৃত্বের একজন বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন মানু মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পরে কেউ নাকি প্রতিবাদ করেনি, এটা ছিল নির্মম অসত্য কথা। মিথ্যা কথা। কারণ, আপনারা হলেন সেই সময়ের সাহসী সন্তান। যারা প্রতিরোধ যোদ্ধা রচনা করেছিলেন। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের দুঃখের সাথে, বেদনার সাথে আপনারা প্রতিবাদের মহান দায়িত্বটি পালন করেছেন। সেই মহান দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা সারা জীবন, যতদিন পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে, যতদিন জাতির পিতার আদর্শ বিরাজমান থাকবে ততদিন প্রতিটি যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সম্মান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমৃদ্ধ মানুষের হৃদয়ে জায়গা থাকবে।

প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সভাপতি আ. হা. সেলিম তালুকদারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বাবু দীপঙ্কর তালুকদার ও কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও প্রয়াত মানু মজুমদারের সহধর্মিণী ক্যামেলিয়া বিশ্বাস।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের নেতা ও নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অসিত সরকার সজল, প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের নেতা মীর দেলোয়ার হোসেন, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আব্দুল কাইয়ুম খসরু, আব্দুর উফ শিকদার, দূর্গাপুর উপজেলা প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সভাপতি গিলভাট, ধোবাউড়া উপজেলা প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বজলুর রহমান, প্রতিরোধ যোদ্ধা আমজাদ হোসেন।