‘প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে’, তবু কোটা চান না মেধাবীরা

প্রকাশিত:রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪ ১০:০৬

‘প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে’, তবু কোটা চান না মেধাবীরা

নিউজ ডেস্ক: https://youtu.be/SqK5KBLNTEE
রোববার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি দল হাইকোর্টে এটর্নি জেনারেলের কাছে লিখিত স্মারকলিপি দিতে যান।

এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ওই সমাবেশে জড়ো হন।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীরা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, “কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন তারা৷

আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা প্রয়োজনে রক্ত ঝরার মাধ্যমে শেষ হবে। তবুও এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীসমাজ আদায় করে ছাড়বে। আমরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিলের আল্টিমেটাম জানাই। যদি ৩০ তারিখের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয় তাহলে আমরা লাগাতার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক একটি দুর্গ হিসেবে গড়ে আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ বলেন, আমাদের সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে কিন্তু আজকে কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ কোনো দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে। আজকেও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এই রাজপথ ছাড়বে ন। প্রয়োজনে রক্ত ঝরবে, রাজপথে লাশ পড়বে তবুও আমরা এই দাবি আদায় করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ