অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্য দেশে পাঠাতে চায় জার্মানিও

প্রকাশিত:শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ১১:০৬

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্য দেশে পাঠাতে চায় জার্মানিও

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপে বিপর্যস্ত অপর দেশ ইতালিও ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার সঙ্গে অভিবাসী স্থানান্তরের চুক্তি করেছে।

এবার এই পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানিও। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ জানিয়েছেন, দেশটিতে আগত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সহযোগী রাষ্ট্রের খোঁজ করছে জার্মানি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি ও আশ্রয়প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার কাজও শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানী বার্লিনে জার্মানির ১৬টি প্রদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শুলজ। বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে অভিবাসীদের স্থানান্তর সংক্রান্ত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করা হবে, তারপর এ সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত করে ১৬ প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার প্রধানদের মতামত নেওয়া হবে।’

‘তারা মতামত জানানোর পর প্রস্তাবটি চুড়ান্ত করে আমরা সহযোগী রাষ্ট্রের খোঁজার চেষ্টা করব। আমাদের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।’

আশ্রয় প্রক্রিয়ার মূল্যায়ন যেভাবে

অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্থানান্তরের জন্য অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষরকারী দেশ যুক্তরাজ্য। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথম এ সংক্রান্ত তৎপরতা শুরু করে এবং পার্লামেন্ট ও আইনী বাধা ডিঙিয়ে ২০২৩ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সঙ্গে চুক্তিও করে। ইতোমধ্যে অভিভাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো শুরু করেছে লন্ডন।

চলতি বছর আলবেনিয়ার সঙ্গে অভিবাসন সংক্রান্ত চুক্তি করেছে ইতালি। তবে এখনও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সেখানে পাঠানো শুরু করেনি দেশটি।

এই দুই মডেলই খতিয়ে দেখা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শুলজ। তবে জার্মানির সরকার আদৌ এমন কোনো দেশ খুঁজে পাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দেশটির অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

অন্য দেশের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরে জার্মানির অনেক রাজনীতিবিদেরও আপত্তি রয়েছে। দেশটির নিডারজাক্সেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্টেফান ভাইল ইতোমধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।