ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিনটি অ্যাম্বুলেন্সই অকেজো, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

প্রকাশিত:শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ১২:০৬

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিনটি অ্যাম্বুলেন্সই অকেজো, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স না থাকা এবং সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার ঘাটতির সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসা গড়ে তুলেছে। হাসপাতালের ভেতরেই তাদের অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫-৭ জন রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয়।

জানা গেছে, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের একটি সচল ছিল। প্রায় দুই মাস ধরে একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া হাসপাতালের গ্যারেজে আগে থেকেই দুটি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে বছরের পর বছর পড়ে আছে। এগুলো মেরামত করে কাজে লাগানোর বিষয়েও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, অকেজো গাড়ি সংস্কার বা নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া জটিল।

ডিমলা উপজেলা শহরে পাঁচটির অধিক ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স আছে। সরকারি মূল্যতালিকা অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করার কথা থাকলেও রোগী পরিবহনে তা মানছে না ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলো।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলো যাত্রী পরিবহনে সরকারি মূল্যতালিকা মানে না। খেয়াল-খুশিমতো তারা রোগী পরিবহনে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ আদায় করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে।

হাসপাতাল ও কয়েকজন চালক সূত্রে জানা যায়, ডিমলা থেকে রংপুর সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিবহনে সরকারি ভাড়া ১ হাজার ৬০০ টাকা। আর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গরিব রোগী ও তাদের স্বজনেরা।।

সেবা নিতে আসা হামিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স মাত্র একটা। সেটিও প্রায় নষ্ট থাকে। এই সুযোগে হাসপাতালের সামনে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে তিনগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করে না।

জানতে চাইলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল হাকিম জানান, হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যক্ত। সচল অ্যাম্বুলেন্সটি ১৫-২০ দিন হলো বিকল হয়েছে।

তবে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামানের। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।