৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ১১:০৬
নিউজ ডেস্ক: ফেনী শহরের মুহুরী নদীর পাড় থেকে একজনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম নেজাম উদ্দিন (৪৫)। আজ শনিবার ভোর পাঁচটায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে হত্যা করা হয়।
নেজাম উদ্দিন ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি শহরের রাজাঝির দিঘির পাড়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার জানান, গতকাল বিকেলে নেজাম উদ্দিন বাড়ি থেকে শহরে যান। কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে আশপাশে তাঁর খোঁজখবর করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। দিবাগত রাত তিনটার দিকে নেজামের বড় ভাই নূরনবী বাড়ির পাশে মুহুরী নদীর পাড়ে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক পলাশ চৌধুরী জানান, লাশের ঘাড়ে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্রের কোপের গভীর দাগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডান বাহুর পেছনের অংশে ও কনুইয়ের পেছনের দিকে কোপের দাগ রয়েছে। উপর্যুপরি কোপানোর ফলে অধিক রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারা এ ঘটনায় জড়িত, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মোটবী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কামাল উদ্দিন জানান, দুই বছর ধরে নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ভাইদের জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। তিন মাস আগে ইউপি চেয়ারম্যানের সালিসের মাধ্যমে বিরোধের মীমাংসা করা হয়। তার পর থেকে তাঁদের মধ্যে আর কোনো বিবাদ হয়নি বলে জানা যায়। কী উদ্দেশ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নেজাম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১