ভিয়েনায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ০৩:০৬

ভিয়েনায় আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নিউজ ডেস্ক: রোববার (২৩ জুন) বিকেলে ভিয়েনার ডেজনারটাসে রিডবান হলে এ আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক এম নজরুল ইসলাম।

আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম পাকন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরই বাঙালি জাতির ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু হয়। প্রথমেই মাতৃভাষার ওপর আঘাত আসে। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, বঞ্ছনার প্রতিবাদে প্রগতিশীল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু তখন কারাবন্দি ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, দলটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই পূর্ব বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। ’৫২ সালেই বঙ্গবন্ধু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পশ্চিমাদের শোষণ বঞ্ছনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের পতাকাতলে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উন্নত সম্মৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন একটা দেশকে বঙ্গবন্ধু যখন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তার পরবর্তী সময়ে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে তারা আওয়ামী লীগকে ধংস করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনস্বার্থে আত্মদানের মহিমায় উদ্ভাসিত, কারণ এটি শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের জন্ম এবং বাঙালি জাতির উত্থানপর্বের প্রতিটি স্পন্দনের সঙ্গী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

বিশেষ অতিথি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির আত্মপ্রকাশ, দুই যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে সেই দলটির নেতৃত্বেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এর চেয়ে বড় অর্জন কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আসতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। আদর্শবাদী, উদারনৈতিক এই রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্ব বিনাশের চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সব বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে।

রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত সম্মৃদ্ধ করে চলছেন।