নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ নেতা হত্যায় গ্রেপ্তার ৯

প্রকাশিত:সোমবার, ০১ জুলা ২০২৪ ১০:০৭

নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ নেতা হত্যায় গ্রেপ্তার ৯

সমগ্র দেশ ডেস্ক: গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ হাবিব (২০), মো. সোহেল (৩০), মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন আনার (২৪), মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা (৩২), ওয়াসেল হোসেন নাহিদ (২৭), মাসুদ (৫২), বাপ্পি (২৩), জামাল (৪৮) ও কাইয়ুম (২২)। এদের মধ্যে নাহিদ, সোহেল, হাবিব ও আনোয়ার মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

এর আগে গত ২৯ জুন ফতুল্লা থানা পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এজাহারনামীয় আসামি বাপ্পি ও জামালকে এবং গত ৩০ জুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে র‍্যাব-১১ চাঞ্চল্যকর এই মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন ওরফে হীরাসহ চার আসামিকে
শনিবার (২৯ জুন) গ্রেপ্তার করে। সবমিলিয়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩ জনে।

এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সালাউদ্দিন সালু ও হীরাসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সুরুজ মিয়া আলীপাড়া জামে মসজিদে থাকাকালীন আলাউদ্দিন ওরফে হীরার নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন প্রথমে ভিকটিমের বড় ছেলে রাজু (৪৩) এবং ছোট ছেলে জনির (৪১) পথরোধ করে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে। হামলাকারীদের প্রত্যেকের হাতে রামদা, বগিদা, ছোরা, লোহার রড ছিল। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি হীরা হাতে থাকা রামদা দিয়ে রাজুর মাথায় কোপ দিতে গেলে রাজু হাত দিয়ে ঠেকালে হাতের কনুয়ের ওপর আঘাত লেগে গুরুতর জখম হন। অন্যান্য আসামিরাও রাজু ও জনিকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। নামাজ শেষে সুরুজ মিয়া ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তার ওপরেও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। আত্মরক্ষার্থে সুরুজ মিয়া হামলাকারীদের একজনের হাত থেকে রামদা ছিনিয়ে নিলেও সন্ত্রাসীরা তার মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণসামগ্রী সরবরাহের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে সুরুজ মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে সুরুজ মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সুরুজ মিয়া কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও স্থানীয় আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ