দেশে প্রথম চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাব- এনাটমি মিউজিয়াম

প্রকাশিত:বুধবার, ০৩ জুলা ২০২৪ ১১:০৭

দেশে প্রথম চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাব- এনাটমি মিউজিয়াম

স্বাস্থবার্তা ডেস্ক: বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের অধীনে এই প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এনাটমি একটি কঠিন বিষয় হলেও এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বেসিক বিষয়। তাই এনাটমিতে দক্ষ না হলে ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। তাই দক্ষ চিকিৎসক হওয়ার জন্য এনাটমি ওপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ওপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে সমগ্র দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, যা মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করবে।

এসময় উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনের রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়।

তারা বলেন, প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন এবং সিলিকন ব্যবহার করা হয়, যার ফলে মূল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের মত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোনও গন্ধ তৈরি হয় না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীমসহ বিভাগের সব শিক্ষক, রেসিডেন্ট উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ভেতরে এটিই প্রথম ল্যাব যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।