হারানো চাকরি ফেরত চান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৯ আগ ২০২৪ ০৩:০৮

হারানো চাকরি ফেরত চান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

শিক্ষা ডেস্ক: বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়। গণ-আন্দোলনের ‍মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

চাকরিচ্যুতদের দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য তিন দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আবেদন করেছেন চাকরি রক্ষা কমিটির নেতারা। দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে সব চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চাকরিতে পুনর্বহাল করা, নতুন করে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া গ্রহণ না করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো প্রকল্প গ্রহণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করতে হবে।

এসব দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন তারা। একই দাবিতে বুধবার (৭ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাকরি রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে চাকরিচ্যুত কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।

চাকরি রক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ খন্দকারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল করিম, চাকরি রক্ষা কমিটির মহাসচিব মিয়া হোসেন রানা, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদের নেতা মোসলেম উদ্দিন, তারেক মাহমুদ, আমির হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান নান্নু, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আব্দুল মতিন, আজিজুল হক, আফজাল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি আমিনুল আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চাকরিচ্যুতদের দাবির প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর ২০১১ সালে কতিপয় অসাধু কর্মকতা ও কর্মচারী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যা ছিল চাকরিবিধি বহির্ভূত-অনিয়মতান্ত্রিক ও অনৈতিক।

আন্দোলনকারী জানান, বিগত প্রায় ১৩ বছরে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অমানবিক কষ্ট ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। বাকিরা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে বর্তমানে দিনযাপন করছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ