এবার ভাঙল আল-আরাফাহ্ ও বাংলাদেশ কমার্সের পর্ষদ এস আলমের দখলমুক্ত হলো আরও দুই ব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৩ সেপ্টে ২০২৪ ০৩:০৯

এবার ভাঙল আল-আরাফাহ্ ও বাংলাদেশ কমার্সের পর্ষদ এস আলমের দখলমুক্ত হলো আরও দুই ব্যাংক

এবার এস আলম গ্রুপের দখলে থাকা আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংক দুটিতে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের কবল থেকে ৮টি ব্যাংক দখলমুক্ত হলো।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি আদেশে পর্ষদ বাতিল করা হয়, ওই আদেশে নতুন পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

ব্যাংক দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউল রহমান, মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া ও চার্টার্ড একাউন্টেট শেখ আশ্বফুজ্জামানকে।

এ ছাড়া দুজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ ও জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা। কামরুল হক মারুফ বর্তমানে সরকারের প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে আছেন এবং গোলাম মরতুজা জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ।

আল-আলাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন খাজা শাহরিয়ার। তিনি লংকা বাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।

ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর আত্মগোপনে গিয়ে গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রউফ তালুকদার। নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি এসে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন শুরু করেন। বিশেষ করে ব্যাংক দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেন।

এর আগে আরও আটটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হলো— ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবি, এক্সিম ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। পর্ষদ পুনর্গঠনের তালিকায় আজ যুক্ত হলো আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।