মালদ্বীপে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. মুক্তার আলী

প্রকাশিত:শুক্রবার, ১৩ সেপ্টে ২০২৪ ১২:০৯

মালদ্বীপে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. মুক্তার আলী

মালদ্বীপ বিএনপির নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বিগত সরকারের নির্যাতনের শিকার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মুক্তার আলী লস্কর। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাকে ওএসডি করা হয়। রেহাই পাননি তার সহধর্মিণী জেবাউন নাহারও। তারা ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে পাড়ি জমান দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে। সেখানে গিয়েও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি আন্দোলনে কোনো না কোনোভাবে অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন তিনি।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশ গঠনে নিজের অংশগ্রহণের প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরছেন ডা. মুক্তার আলী। চাকরি জীবনে ১৬ বছর ওএসডি থাকার পর আবার কর্মে ফিরতে চান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপ বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের শিকদারের আয়োজনে রাজধানী মালের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে ড. মুক্তার আলী লস্করের বাংলাদেশে গমন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মো. কাশেদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি নেহের মিয়া রানা, সহ সভাপতি শাহ আলম, মো. এমরান হোসেন তালুকদার,

ফারুক হোসেন, প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. হায়দার আলী সাবু, যুগ্ম সম্পাদক রবিউল আলম, সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান শাহজী, দপ্তর সম্পাদক মো. ওমর ফারুক অনিক,

কোষাধক্ষ্য মো. আব্দুল্লাহ কাদের, যুবদল মালদ্বীপ শাখার প্রস্তাবিত সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, মো. মামুন, মালদ্বীপ-বাংলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে। সেজন্যে প্রতিটি সময় আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক অতীতের ন্যায় দলীয় কর্মসূচি পালন করে যেতে হবে।

দেশ সংস্কারে সহায়তা হিসেবে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।