‘সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ ফোরামের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার, ১৮ সেপ্টে ২০২৪ ০২:০৯

‘সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ’ ফোরামের আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূলমন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ ফোরাম।

সংগঠনটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ডা: কাজী সাইফউদ্দীন বেননূর ও সদস্য সচিব ডা: শামীম হায়দার তালুকদার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সংস্কার ভাবনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই ফোরাম আত্মপ্রকাশ করে।

এছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন, ডা: সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্থ, ডা: মো: আব্দুস শাকুর খান, ডা: শরফুল ইসলাম খান (ববি), ড: এম এ রাজ্জাক, ড: জহিরুল ইসলাম, ড: সৈয়দ মো. বকিবিল্লা টুটুল, ড: শাহিন আক্তার, ড: এম মনির হোসেন,

ড: গোলাম মোহিউদ্দিন খান সাদি, ড: এস এম খালিদ মাহমুদ সাকিল, ড: আব্দুল আলিম, ড: জিয়া হায়দার, ড: তৌফিক জোয়ার্দার, ড: আহমদ এহসানূর রহমান।

আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, এই ফোরাম নাগরিক সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো, যেমন মানসম্মত সেবার অভাব, গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের বৈষম্য, বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের যথাযথ ব্যবস্থাপনা,

অসংক্রামক রোগের (এনসিডি) ক্রমবর্ধমান চাপ, এবং স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব, এ সবের আলোচনা এবং যৌক্তিক সমাধান প্রদানে কমিটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ন্যায়, জবাবদিহিতা, এবং অন্তর্ভুক্তির নীতির উপর ভিত্তি করে, এই কমিটি সমন্বিত সমাধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

ফোরামের লক্ষ্য: একটি সমতাভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, এবং জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে যৌক্তিক মতামত রাষ্ট্রের পরিচালকদের কাছে পৌঁছে দেয়া

ফোরামটির উদ্দেশ্যসূমহ হলো-

১। স্বাস্থ্য বিষয়ক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ বক্তব্য প্রদান

২। স্বাস্থ্য বিষয়ক রাজনৈতিক বিতর্ক সমূহ নিরসনের লক্ষ্যে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান প্রস্তাব

৩। বৈষম্যহীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যার যার ক্ষেত্র থেকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমের মানুষকে সচেতন করা

৪। সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ হয়ে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন মতামত রাষ্ট্রের পরিচালকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া