৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ১৮ সেপ্টে ২০২৪ ০৪:০৯
বাংলাদেশের ট্রাভেল ট্যুরিজম ও সিলেটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট দ্রুত চালুর বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউকের বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সামাজিক ও কমিউনিটি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুক্তরাজ্যে সফররত সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার সিপার আহমেদ বলেন, সিলেটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে।
থার্ড ক্যারিয়ার (অন্যান্য এয়ারলাইন্স) নামানোর দাবি জোরালো করতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ বিমানকে বাঁচাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সিলেটিরা।
লোকসান দিয়ে হলেও চট্টগ্রামে থার্ড ক্যারিয়ার অপারেট হচ্ছে কিন্তু সিলেটকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই ইস্যুতে প্রবাসীদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
হজের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউকে প্রবাসীদের জন্য অর্ধেক খরচে হজ করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ নিতে প্রবাসী মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খন্দকার সিপার আহমেদ জানান, বাংলাদেশের কোটা থেকে ৪২ হাজার আসন খালি থাকে। এই সুযোগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইউকে প্রবাসীরা বহুল আকাঙ্ক্ষিত হজ পালন করতে পারবেন।
ব্রিটেন সফররত খন্দকার সিপার আহমেদ সম্প্রতি লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইসির মাহমুদের পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়রের অ্যাডভাইজার মুহাম্মদ জুবায়ের এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার ও কমার্সের
ডিরেক্টর জেনারেল সলিসিটর দেওয়ান মাহদি।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, লন্ডনের ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর পারভেজ আহমেদ, সাংবাদিক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগীর বখত ফারুক,
সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ, তাজ অ্যাকাউন্ট্যান্টের স্বত্বাধিকারী আবুল হায়াত নুরুজ্জামান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ফাইনান্স ডিরেক্টর মনির আহমেদ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা আসহাব বেগ,
হিলসাইড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হেলাল খান, ইমরান ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আশিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় দেশের ট্রাভেল ট্যুরিজম ও সিলেটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু ও হজের সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে খন্দকার সিপার বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত বছর ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন হাজি হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ২০২৪ সালে কোটা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। বাংলাদেশ থেকে গত বছর মাত্র ৮৫ হাজার ২২৫ জন পবিত্র হজ পালন করেছেন। সেই তুলনায় বাংলাদেশের কোটা পূরণ হয়নি।
সুযোগ থাকলেও প্রায় ৪২ হাজার হজযাত্রী পায়নি বাংলাদেশ সরকার। তাই যুক্তরাজ্যের কোটার কারণে যারা পবিত্র হজে যেতে পারছেন না তারা চাইলে সিলেট থেকে এই সুযোগটা নিতে পারবেন।
ওসমানী বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও সুবিধাদি বৃদ্ধি করা প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে শুরু হয় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প।
৪ বছরে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে মাত্র এক চতুর্থাংশ। সব প্রবাসীসহ সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি দ্রুত সম্প্রসারণ কাজ শেষ করা। এই দাবিতেও আপনাদের সোচ্চার ভূমিকা কামনা করছি।
সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি বলেন, ২০১৮ সালে আমি সিলেট চেম্বারের দায়িত্বে থাকাকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাতের ফ্লাইট চালুর দাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করি।
যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট-ঢাকা-সিলেট ফ্লাইট চালু রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমজিএ সেবা চালু রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১