৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শনিবার, ২১ সেপ্টে ২০২৪ ০১:০৯
দুনিয়াজুড়ে আজ ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় আজ ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি। অর্থাৎ আপনি যদি আজ দেশটিতে যান তাহলে সময় ও তারিখ মেলাতে গিয়ে দেখবেন, ৭ বছর ৮ মাস পিছিয়ে গেছেন।
শুনতে অনেকটা টাইম ট্রাভেলের মতো লাগছে! লাগছে বইকি। ঘটনা আরও আছে। আমরা জানি, ১২ মাসে বছর। কিন্তু ইথিওপীয় ক্যালেন্ডারে বছর হয় ১৩ মাসে। ২৮, ২৯, ৩০ বা ৩১ দিন—ভিন্ন ভিন্ন মাসের এই ভিন্ন ভিন্ন হিসাবেও তারা যায় না।
তাদের ১২ মাসই ৩০ দিনের। বাকি যে পাঁচ দিন উদ্বৃত্ত থাকে সেগুলোর সমন্বয়ে হয় ত্রয়োদশ মাস। অধিবর্ষ হলে ত্রয়োদশ মাসটি হয় ছয় দিনের।
ইথিওপিয়ায় আজ ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি
এসবের কারণ মূলত তাদের স্বতন্ত্র ক্যালেন্ডার। বিশ্বের অন্যান্য দেশ গ্রেগরিয়ান বা পশ্চিমা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। রোমান চার্চ যখন ৫০০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সমন্বয় করে তখন ইথিওপীয় অর্থোডক্স চার্চ পুরোনো ক্যালেন্ডারেই স্থির থাকার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
এখনো সেভাবেই চলছে এবং সে দেশের জনগণও ব্যাপারটিকে তাদের ধর্মীয় আদর্শ, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য ও জাত্যভিমান হিসেবেই বিবেচনা করে। যেমন ইথিওপীয় চিত্রগ্রাহক অ্যাবেল গ্যাশো বলেন, ‘ইথিওপিয়া খুবই রক্ষণশীল খ্রিষ্টান দেশ।
বাকি বিশ্বে কী হচ্ছে না হচ্ছে, এ দেশের অধিকাংশ লোকই তার তোয়াক্কা করে না।’
রোটেট ইথিওপিয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশেতু গেটাশুর কথাটিও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র। কখনো কারও উপনিবেশ ছিলাম না। আমাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার আছে। নিজস্ব বর্ণমালা আছে। আছে নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১