নবাগত শিক্ষার্থীদের ঢাবি উপাচার্যের শুভেচ্ছা

প্রকাশিত:শনিবার, ২৮ সেপ্টে ২০২৪ ০৩:০৯

নবাগত শিক্ষার্থীদের ঢাবি উপাচার্যের শুভেচ্ছা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে। ক্লাস শুরুর প্রাক্কালে নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য এ শুভেচ্ছা জানান।

শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আনন্দের দিন। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শ্রেণী-কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তোমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করেছ, তাদের জন্যও নিশ্চয় দিনটি আনন্দের।

আমি বিশ্বাস করি, তোমরা বাংলাদেশের সেরা মেধাবীদের অংশ। তোমাদেরকে পেয়ে আমরাও গর্বিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন সকল শিক্ষার্থীকে আমি স্বাগত জানাই।

উপাচার্য বলেন, শতাব্দীর অধিককাল ধরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের রাজনৈতিক- সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসের পরিবর্তন ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লব ইতিহাসের এক নতুন সন্ধিক্ষণে নিয়ে এসেছে আমাদের। এই নব অভিযাত্রার অগ্রসৈনিক তোমরা।

নবীনদের শুভকামনা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, এখন তোমাদের জীবনেরও সন্ধিক্ষণ। আমি আশা করি, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে তৈরি করার সমস্ত সুযোগ তোমরা গ্রহণ করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার, উন্মুক্ত প্রান্তর জীবনের বোধ ও উপলব্ধিকে পূর্ণ করে। এখানে ব্যক্তির প্রতিভার বিকাশ ও প্রকাশের বহুমাত্রিক সুযোগ ঘটে। তোমাদের সামনে চলার পথে আমার দোয়া ও শুভকামনা রইল।

বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শিক্ষার পরিবেশ আমরা যত নিবিড় করতে পারব, শিক্ষার চাহিদা আমরা যত পূরণ করতে পারব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ক্ষেত্রে তত প্রশংসিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার পথে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে চাই।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অংশগ্রহণে সংঘটিত জুলাই বিপ্লব-উত্তর বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণে তোমাদের আবারও আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।

এই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন এবং অংশ নিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও অভিবাদন।