মেহেরপুরে চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টো ২০২৪ ১২:১০

মেহেরপুরে চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫

মেহেরপুরের মুজিবনগরে চাঁদাবাজির মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলমের দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মহাজনপুর গ্রামের আ. সাত্তারের ছেলে হেলাল উদ্দীন লাভলু, বিশ্বনাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুস সালাম, একই গ্রামের মৃত মকছেদ মণ্ডলের ছেলে বাহালুল ইসলাম, দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম এবং কোমরপুর গ্রামের আলিহিম মণ্ডলের ছেলে আজিজুল হক।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম মুজিবনগর থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের বামনপাড়া বাজারে রফিক কার ওয়াশ ও ভলকানাইজিং ওয়ার্কশপ ছিল। টাকার প্রয়োজনে ওয়ার্কশপটি গত ২৫ এপ্রিল খোরশেদ আলম বামনপাড়া গ্রামের মৃত মোকসেদ মিরের ছেলে মারুর নিকট ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। এই বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা গত ৩০ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৮টার দিকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ খোরশেদ আলমের বাড়িতে ঢুকে তাকে ঘিরে ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

চাঁদা না দিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে খোরশেদ আলম ঘরে থাকা ৫ লাখ টাকা আসামিদের দিয়ে দেন। ৫ লাখ টাকা পেয়ে আসামিরা এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৫ লাখ টাকা পরিশোধ না করলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। সেই সময় ঘটনার বিষয়ে খোরশেদ আলম মুজিবনগর থানায় এটি অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করেনি।

এ কথা জানতে পেরে পুনরায় আসামিরা খোরশেদ আলমকে হত্যার হুমকি দিলে তিনি প্রাণভয়ে আদালতেও মামলা করেননি। বর্তমানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার কারণে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এই মামলা দায়ের করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, খোরশেদ আলমের দায়েরকৃত মামলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ