১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:রবিবার, ০৬ অক্টো ২০২৪ ০৩:১০
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে দিনব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কলেজের ছাত্রীরা। অবশেষে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদকে সাত দিনের ছুটিতে পাঠিয়েছেন কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে ছাত্রীদের সঙ্গে ছাত্রদেরও বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা যায়। পরে কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি কলেজে পৌঁছালে ছাত্রীদের বিক্ষোভ আরও জোরেসোরে শুরু হয়। তখন সভাপতি শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে সভায় বসেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সভাপতি নাসিরুলের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অধ্যক্ষকে বাসায় পাঠিয়ে কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করে অধ্যক্ষকে সাত দিনের ছুটি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন চৌধুরীসহ অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ওই কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রবীন কুমার লস্কর, সহযোগী অধ্যাপক মিনু রানী সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক শিরিন হোসেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ কলেজের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি শিক্ষকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন।
কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ ছাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিতো কোনো অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করি নাই। সুযোগও নাই। কারণ কলেজের সকল কাজ করার জন্য বিভিন্ন কমিটি করা আছে। ম্যানেজিং কমিটি সকল কাজ করে থাকে এবং সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্রীরা বার বার আমার পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে আসছে। বর্তমান সভাপতি কলেজে এসেছিলেন। তিনি সাত দিনের ছুটি দিয়েছেন আমাকে।
কলেজের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, কোনো অভিযোগ উঠলেইতো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। শাস্তিও দেওয়া যায় না। এ জন্য অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদকে সাত দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। শিক্ষকরাই কমিটির সদস্য। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ আগস্ট প্রথম ছাত্রীরা ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সে সময় কলেজের সভাপতি ও বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী অধ্যক্ষকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন।পরে তিনি ছুটি কাটিয়ে কলেজে কাজে যোগ দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১