১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ০৭ অক্টো ২০২৪ ১০:১০
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের তিনদিন পর এক রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে নুরুল আফছার (১৯)।
উদ্ধার হওয়া কিশোর মোহাম্মদ হামিম (১৫) উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে।
ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য হামিম ঘর থেকে বের হয়। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত জনৈক যুবক মোহাম্মদ সেলিমের সঙ্গে দেখা হয়।
এ সময় সেলিম তাকে ফুসলিয়ে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও হামিম বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিলেও সন্ধান পাননি।
তিনি বলেন, পরদিন শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হামিমের মায়ের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
টাকা না দিলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি অপহৃতের মা টেকনাফ থানায় অবহিত করেন।
ঘটনা জানার পর অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় দুর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্ত করে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনৈক মোহাম্মদ ফয়সালের সন্দেহজনক বসত ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ধাওয়া করে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী কিশোরের মা সাবেরা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদ সেলিমকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করেন বলেও জানান গিয়াস উদ্দিন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১