আইসিএমএইচকে ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়

প্রকাশিত:রবিবার, ২০ অক্টো ২০২৪ ০১:১০

আইসিএমএইচকে ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়

মাতুয়াইল মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ‌্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালকে (আইসিএমএইচ) সুপার স্পেশালাইজড হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি বলেন, প্রায় দুই দশক ধরে ঢাকা দক্ষিণের মাতুয়াইলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। যা অর্জন করে নিয়েছে মাতুয়াইলসহ আশপাশের নিম্ন আয়ের মানুষের আস্থা। আমরা চাই মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিষ্ঠানটি একটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে উঠুক।

রোববার (২০ অক্টোবর) মাতুয়াইল আইসিএমএইচে শিশু চক্ষু সেবা কেন্দ্র, আরইটি ক্যাম মেশিন ফর রেটিনোপ্যাথি ও প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) স্ক্রিনিং এবং জাতীয় অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এমকিউকে তালুকদারের নামে একটি লাইব্রেরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

নূরজাহান বেগম বলেন, আইসিএমএইচ এ এলাকার মানুষের একটা ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। আমরা প্রতিষ্ঠানটির আরও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমরা চাই প্রতিষ্ঠানটি আরও মানসমৃদ্ধ হোক, মা ও শিশুরা যেন এই প্রতিষ্ঠানে এসে সর্বাধুনিক সেবা নিয়ে যেতে পারে। এই হাসপাতালের যতগুলো সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সেগুলোর সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

এসময় স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ সচিব ডা. মো. সারওয়ার বারী বলেন, এ হাসপাতালকে এগিয়ে নিতে আপনারা আমাদের জানান কি কি করা উচিত। আমাদের মন্ত্রণালয় সবসময় এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ছিল, থাকবে।

তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান শিশু স্বাস্থ্যের জন্য একটি উজ্জ্বল নাম, যা বিশেষ অবদান রাখছে। আজ নতুন করে ল্যাব উদ্বোধন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এখানে অনেক অভিজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। নতুন করে শিশুদের জন্য প্রথমবারের মতো শিশু চক্ষু সেবা চালু হচ্ছে, যা খুবই ভালো দিক।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রনজিত কুমার সরকার বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার জন্য এ প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুপরিচিত। এখানে শিশু চক্ষু সেবা কেন্দ্র, আরইটি ক্যাম মেশিন ফর রেটিনোপ্যাথি ও প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) স্ক্রিনিং এবং এমকিউকে তালুকদারের নামে একটি লাইব্রেরি চালু হচ্ছে, যা খুবই আনন্দের। এ প্রতিষ্ঠানের আরও উন্নতি প্রয়োজন। আপনারা এ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় দিক তুলে ধরবেন, আমাদের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে।

এসময় জাতীয় অধ্যাপক ও আইসিএমএইচের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এমকিউ তালুকদার তাকে দেওয়া সংবর্ধনা ও নিজের নামে লাইব্রেরি করায় আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বয়স ৮৪ বছর। সকালেও অসুস্থ ছিলাম, এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। পরে তার মেয়ে তার পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনার জন্য সবাইকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

আইএমসিএচের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ প্রতিষ্ঠানে নতুন করে ১০তলা ভবন করার আশা প্রকাশ করেন এবং এ প্রতিষ্ঠানের নাম ডা. এমকিউ তালুকদারের নামে নামকরণ করার জন্য দাবি পেশ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মা ও শিশু স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা।