৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ২৫ নভে ২০২৪ ০২:১১
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিন কলেজের সংঘর্ষে মোল্লা মাহবুবুর রহমান কলেজের নাফি (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে কে বা কারা তাকে গুলি করেছে, সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিনভর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিন কলেজের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। এতে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হন। এদের মধ্যে অন্তত ৪৫ শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পেটে গুলিবিদ্ধ।
কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। কীভাবে তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র এলো? আর তা যদি না হয় তাহলে এ গুলি কে করল?
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী এলাকায় শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ালেও পুলিশের সক্রিয় কোনো ভূমিকা ছিল না। তারা শিক্ষার্থীদের দমাতে কোনো ধরনের টিয়ারগ্যাস বা গুলি ছোড়েনি। তবে পুলিশের ধারণা, শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষে বহিরাগত কোনো অপরাধী বা গোষ্ঠী এই কাজ করে থাকতে পারে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নাফি। তিনি ঢাকার ডেমরার মোল্লা মাহবুবুর রহমান কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ডেমরার বামৈল বাজার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
চিকিৎসকরা জানান, কলেজছাত্র নাফির পেটে গুলি ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নাফির খালু মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, সকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারির খবর শুনে বাসা থেকে বের হয় নাফি। এর একটু পরেই সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ডেমরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার পেটে গুলি ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীরে এখন রক্ত দেওয়া হচ্ছে। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, সে বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি।
নাফির বড় ভাই নিলয় বলেন, আমার ভাই মারামারি দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সে যখন গুলিবিদ্ধ হয় সেই সময় স্পটে কোনো পুলিশ ছিল না। ছাত্রদলের মধ্য থেকেই কেউ না কেউ গুলি করেছে। আমাদের ধারণা— কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা গুলি করেছে। কারণ, তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, যাত্রাবাড়িতে তিন কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৪৫ জন শিক্ষার্থী এসেছেন। এদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ তার নাম নাফি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১