জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসীদের ওয়াজ মাহফিল

প্রকাশিত:রবিবার, ০১ ডিসে ২০২৪ ০৩:১২

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসীদের ওয়াজ মাহফিল

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন নাগরিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামের এ ইসলামিক মাহফিলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। ইউরোপে একজন মুসলমানের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবন কেমন হওয়া উচিত– এ নিয়ে মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন আলোচকরা।

নাগরিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী জার্মানি আয়োজিত এ ওয়াজ মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন ইউরোপের জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার লন্ডন এসেক্স জামে মসজিদ এবং একাডেমির প্রিন্সিপাল শায়খ মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও মাহফিলে ইসলামের আলোকে পারিবার গঠনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন লন্ডন জমিয়াতুল উম্মাহর হেড অব ইসলামিক স্টাডিজ শায়খ ফারুক হোসাইন।

আলোচকরা ইউরোপে একজন মুসলমানের ব্যক্তিগত, পরিবারিক, সামাজিক এবং কর্মজীবনে কীভাবে ইসলামের নির্দেশনা মেনে পরিচালিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা রাখেন। তারা বলেন, ইসলামের বিধান মেনে পারিবারিক জীবন পরিচালিত করলেই সেখানে শান্তি এবং কল্যাণ নিহিত থাকবে।

ইউরোপের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে তারা উল্লেখ করেন, সন্তানদের ইসলামের শিক্ষা দিলে সে সন্তান কখনো পিতা-মাতাকে অবহেলা করবে না এবং পিতামাতা বৃদ্ধ হলে তাদের পাশে থাকবে ও পিতা-মাতা মারা গেলে প্রতিনিয়ত তাদের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করবে। তারা রাসুল (সা.) এর আদর্শ মেনে ইসলামের আলোকে পরিবার গঠনের জন্য সবাইকে আহ্বান করেন।

মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন নাগরিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রধান কর্ণধার আবু করিম, সাইফুল ইসলাম লিয়ন, দেলোয়ার হোসাইন, পপি নুপুর, রুবেলসহ সংগঠনের কর্মীরা।

মাহফিল পরিচালনা করেন মুফতি রাহেল। এছাড়াও মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জার্মানির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, কমিউনিটি লিডার মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকসহ অনেকে। মাহফিলে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করা শিশু-কিশোরের সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত ও হামদ-নাত সবাইকে মুগ্ধ করে।

‘নতুন দিগন্তের সন্ধানে, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে’-এ স্লোগান সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন নাগরিক সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি কমিউনিটির উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সংগঠনটির প্রধান কর্ণধার আবু করিম জানিয়েছেন, সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে ইসলামিক মাহফিল, বার্ষিক ভ্রমণ, বার বি কিউ পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ