গ্রিসে এক প্রবাসী বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত:শনিবার, ০৭ ডিসে ২০২৪ ০৩:১২

গ্রিসে এক প্রবাসী বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আনাস্তাসিয়া নামে পোল্যান্ডের এক তরুণীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে সালাহউদ্দিন এস.কে (৩৩) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এই রায় দেন আদালত।

গ্রিক গণমাধ্যমে বলা হয়, গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সালাহউদ্দিন এস’র বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ আনেন মামলার কৌঁসুলি। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবনের দণ্ডাদেশ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তবে তার আবেদন আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারণ মামলার কাগজপত্রের কিছু অংশ ২ ডিসেম্বরেই বিবাদীপক্ষের হাতে পৌঁছায়। কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন পোল্যান্ডের ২৭ বছর বয়সী তরুণী আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোনো এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি।

মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, সালাহউদ্দিন ইতালিতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট কিনেছিলেন। ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মুছে ফেলা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়। তবে গ্রেপ্তারের পর আসামি তার অপরাধ অস্বীকার করেন।’

জানা গেছে, ওই তরুণীর মরদেহ একটি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা খুঁজে পান। কস দ্বীপের একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সল্ট লেকের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ডালপালার নিচে লুকানো অবস্থা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ