এক যুগ পর পুরোনো ভুবনে ফুটবলার মামুন

প্রকাশিত:শনিবার, ১৪ ডিসে ২০২৪ ০২:১২

এক যুগ পর পুরোনো ভুবনে ফুটবলার মামুন

গত দুই দশকে বাংলাদেশের সেরা ফুটবলারদের একজন মামুনুল ইসলাম। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়কের ক্রীড়াঙ্গনে পথচলা শুরু হয়েছিল জিমন্যাস্টিক্স দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) তিন বছর জিমন্যাস্টিক্সে থাকার পর নবম শ্রেণিতে সেটি ছেড়ে ফুটবলে যান মামুন। ফুটবলে যশ-খ্যাতি পেলেও এখনও মামুনের হৃদয়ে রয়েছে জিমন্যাস্টিক্স।

বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে। আজ জুনিয়র জিমন্যাস্টদের খেলা দেখতে ও পুরস্কার প্রদান করতে এসেছিলেন মামুন। নিজের পুরোনো ভুবনে এসে মামুন বলেন,‌ ‘ক্রীড়াঙ্গনে আমার জন্ম জিমন্যাস্টিক্সে। বিকেএসপিতে পঞ্চম শ্রেণিতে ফুটবল ছিল না, তাই জিমন্যাস্টিক্সে ভর্তি হই। অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত জিমন্যাস্টিক্সেই ছিলাম। ক্লাস নাইনে ট্রায়াল দিয়ে ফুটবলে যাই। পেশাদার ফুটবলার হলেও জিমন্যাস্টিক্স আমার শেকড়। সময়-সুযোগ পেলে জিমন্যাস্টিক্সে ছুটে যাই।’

বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিল বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। এদিন অগ্রজের আমন্ত্রণেই এসেছিলেন মামুনুল। অনেকদিন পর নিজের পুরনো ভুবনে এসে তার প্রতিক্রিয়া, ‘দূর থেকে খোঁজ-খবর রাখলেও সশরীরে প্রায় এক যুগ পর জিমন্যাস্টিক্সে আসলাম। ক্ষুদে জিমন্যাস্টদের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও সাহায্য-সহযোগিতা পেলে এই জিমন্যাস্টরা ক্রীড়াঙ্গনকে আলোকিত করতে পারবে।’

জাতীয় বয়সভিত্তিক জিমন্যাস্টিক্সের বালক ও বালিকা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে দুই দিনব্যাপী খেলা শেষে বালক বিভাগে ১৪৩.৩৫ পয়েন্ট পেয়ে কোয়ান্টাম ও ১১৫ পয়েন্ট পেয়ে রানার্সআপ হয় বিকেএসপি। ব্যক্তিগতভাবে এই বিভাগে ৫২.৭০ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয় কোয়ান্টাম স্কুলের ওয়ে ওয়ে সাই মারমা।

বালিকা বিভাগেও দলগতভাবে ১২৭.২৫ পয়েন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ১২১.৯০ পয়েন্টে রানার্সআপ বিকেএসপি। ব্যাক্তিগতভাবে এই বিভাগে ৪২.৯৫ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ান্টামের সিংমেনু মারমা। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন। এ সময় ফেডারেশনের সহসভাপতি আহমেদুর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।