যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের’ চ্যালেঞ্জ পুতিনের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসে ২০২৪ ০১:১২

যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের’ চ্যালেঞ্জ পুতিনের

শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন (হাইপারসনিক) ও নতুন প্রজন্মের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিকের কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের সংশয়ের জবাবে তাদেরকে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলন এ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ওরেশনিকের গতি ও কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের সংশয়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে পুতিন বলেন, “যেসব পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ ওরেশনিকের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, তাদের নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে আমি বলব— আসুন আমরা একটা দ্বৈরথের আয়োজন করি। আপনারা কিয়েভে একটি লক্ষ্যবস্তুকে বাছাই করবেন এবং আপনাদের কাছে সর্বাধুনিক যেসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, সবগুলো মোতায়েন করবেন—আর আমরা এখান থেকে আপনাদের বাছাই করা টার্গেটকে লক্ষ্য করে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ব।”

“তারপর দেখুন কী হয়। আমরা এ ধরনের একটি অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। আপনারা (পশ্চিম) প্রস্তুত তো?”

‘ওরেশনিক’ একটি রুশ শব্দ, যার অর্থ ‘হ্যাজেল গাছ’। হ্যাজেল একটি মাঝারি আকারের ঝোপালো গাছ, যার ডালপালা-পাতা গুচ্ছ হয়ে ছড়িয়ে থাকে। রাশিয়ার আলোচিত নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখতে অনেকটা হ্যাজেল গাছের কাণ্ডের মতো। গাছটির অবয়বের সঙ্গে এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের সাদৃশ্য রয়েছে।

বাতাসে শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩১ দশমিক ২৩ মিটার। ওরেশনিকের গতি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।

গত ২২ নভেম্বর প্রথমবার ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওরেশনিক ভীষণ শক্তিশালী। এতোটাই শক্তিশালী যে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এটির বিধ্বংসী ক্ষমতা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সঙ্গে তুলনীয়।

রুশ সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিককে প্রতিহত করতে পারে— এমন কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও আসেনি পৃথিবীতে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সেনা কর্মকর্তা-সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এ দাবি নিয়ে সংশয় জানিয়েছিলেন।

বাৎসরিক সংবাদ সম্মেলনে সেই সংশয়েরই জবাব দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।