৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ২০ ডিসে ২০২৪ ০৩:১২
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দলীয় কার্যালয়, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট ও বাবুরহাটে এসব ঘটনা ঘটে। এতে শফিক রাঢ়ী, তাহমিনা বেগম, সানু বেগম, গণি রাঢ়ি, মিজান খাঁন, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে খাসেরহাট বাজার ও আশপাশ এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন। যেকোনো মুহূর্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব জিএম শামিম বলেন, ফারুক কবিরাজের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। তারা আমার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। আমার শ্বশুরবাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ বলেন, শামিমের নেতৃত্বে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজি চলছে। আমাকে ভালো জানা নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দিলে বিশৃঙ্খলা হয়। শামিমের লোকজন দফায় দফায় অস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রকাশ্যে মহড়া ও ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।
এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে জানিয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপি জরুরি বৈঠক ডেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু, সদস্য শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমেদসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের জেলা কমিটির একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রতিবেদন জমা দেবেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১