২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০২ জানু ২০২৫ ০৩:০১
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সফল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গত বছর বৃটিশ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির সঙ্গে মনোমালিন্য করে ফেডারেশনের চাকরি ছেড়েছিলেন ছোটন। বাফুফের নতুন নির্বাহী কমিটি এসে ছোটনকে আবার ফেডারেশনে ফিরিয়েছে।
ছোটনের মতো কোচ বাফুফেতে ফিরছেন এটা সুখবর হলেও এর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা রয়েছে। ছোটনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে। বাফুফের একাডেমির তত্ত্বাবধায়ন করে ডেভলপমেন্ট কমিটি। সেই কমিটির এখনো আনুষ্ঠানিক সভাই হয়নি। সভা ছাড়া হেড কোচ নিয়োগ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। সভা ছাড়াই ছোটনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়নি। এজন্য সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়নি, যেটা হলে অবশ্যই আরো সুন্দর হতো। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ও আরো কয়েকটি কাজ রয়েছে এজন্য তাকে হেড অফ একাডেমি নিয়োগ দেয়া জরুরি ছিল। সভাপতি ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ নভেম্বর বাফুফের নতুন কমিটি প্রথম সভা করেছে। সেই সভায় বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছে। প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও বাফুফে এখনো কোনো কমিটিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করতে পারেনি।
২০২৪ সালের শুরুতে বাফুফে হেড অফ এলিট একাডেমি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারকে। কয়েকজন বিদেশি কোচের মধ্যে সাক্ষাৎকার নিয়ে তাকে চূড়ান্ত করেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এবার দেশি কোচের ওপর আস্থা রাখলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন হয়নি কোনো। এই পদে আগ্রহীরা আবেদন করলে এরপর সাক্ষাৎকার নিয়ে কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হলে সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত হতো।
গত বছর বাফুফে ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে সাইফুল বারী টিটুকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিল। টিটুর নিয়োগ জায়েজ করার জন্য লোক দেখানো বিজ্ঞপ্তি, সাক্ষাৎকার সবই করেছিল ট্যাকনিক্যাল কমিটি। এবার ছোটনের বেলায় সেই ফর্মুলায় যায়নি। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের যুক্তি, কোচদের নাকি বিজ্ঞপ্তি না দিয়েও নিয়োগ দেয়া যায়। যে কেনো নিয়োগের প্রধান শর্তই বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন হলেও বাফুফে নিজেদের প্রয়োজন মতো করেই যুক্তি উপস্থাপন করছে।
ছোটন বাংলাদেশের ফুটবলে নিবেদিতপ্রাণ কোচদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে তার নিবেদন অন্য মাত্রায়। এরপরও একাডেমির প্রধান হিসেবে কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়তে পারেন তিনি। একাডেমি প্রধানের মাঠে অনুশীলন করানোর চেয়ে কোর্স কারিকুলাম, ব্যবস্থাপনা আরো অনেক বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হয়। ছোটনের চেয়ে এই ক্ষেত্রে পারদর্শী ব্যক্তি বাংলাদেশের ফুটবলে রয়েছেন। অথচ বাফুফে এই পদের জন্য ছোটনকেই বিবেচনা করেছে। ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছোটনের পদ হিসেবে একাডেমির প্রধান কোচ বললেও বাফুফের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে ছোটনের পদ উল্লেখ করা হয়েছে ‘হেড অফ ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট এন্ড বাফুফে এলিট ফুটবল একাডেমী’।
ছোটনের নাম গতকালই বাফুফে এএফসিতে প্রেরণ করেছে। এএফসির ফান্ড থেকে ছোটনের বেতন নির্বাহ হবে। দুই দিন আগে ছোটন ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তিও সেরেছেন। আজ দুপুরে বাফুফে ভবনে তিনি পুনরায় ফেডারেশনে ফিরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আমাকে নতুন দায়িত্ব দেয়ায় ফেডারেশনের সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। চেষ্টা করব কোয়ালিটি ফুটবলার উপহার দেয়ার জন্য। যারা জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১