ফিফা দ্য বেস্ট : ভিনিসিয়ুসকে ভোট দেওয়ার কারণ জানালেন সালাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার, ০৩ জানু ২০২৫ ০২:০১

ফিফা দ্য বেস্ট : ভিনিসিয়ুসকে ভোট দেওয়ার কারণ জানালেন সালাহ

২০২৪ সালের নাটকীয় ব্যালন ডি’অর বিতর্ক ছাপিয়ে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার জিতেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্ষসেরা এই পুরস্কারে ভোট দেন ফিফাভুক্ত জাতীয় দলের অধিনায়ক, কোচ ও ক্রীড়া সাংবাদিকরা। যেখানে লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহামেদ সালাহ বেছে নেন ভিনিকে। পরে তিনি এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

সালাহ ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ পুরস্কারে ভোট দেন মিশর জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে। তিনিসহ অন্য অনেকের ভোটে ৪৮ পয়েন্টে জিতেই ফিফার বর্ষসেরা এই পুরস্কার জেতেন ভিনিসিয়ুস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও ব্যালন ডি’অর জেতা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি পান ৪৩ পয়েন্ট। এ ছাড়া বর্ষসেরার দৌড়ে রিয়ালের ইংলিশ মিডফিল্ডার বেলিংহ্যাম ৩৭ পয়েন্ট পেয়েছেন।

এর কয়েক মাস আগেই ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীর ব্যালন ডি’অরে সর্বোচ্চ ভোট পান ম্যানচেস্টার সিটির তারকা রদ্রি। যেখানে তার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও স্পেনের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া দুটি ট্রফি বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ওই মৌসুমে খালি হাতে ছিলেন না ভিনিসিয়ুসও। রিয়ালের হয়ে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, গোল করেছেন শিরোপানির্ধারণী ফাইনালেও। সে কারণে ভিনিকে ব্যালন না দেওয়া নিয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বিতর্কে কিছুটা লাগাম লেগেছে এই ব্রাজিলিয়ান ফিফা দ্য বেস্ট জেতার পর।

সেখানে ভিনিকে ভোট দিয়েছেন মোহামেদ সালাহ। এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন টিএনটি স্পোর্টস মেক্সিকোকে দেওয়া মন্তব্যে, ‘ভিনিসিয়ুস জুনিয়র খুব দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। সে কারণেই (তাকে বেছে নেওয়া)! সে প্রতি বছরই উন্নতি করছে এবং আশা করি সেই এই ফর্ম সামনেও ধরে রাখবে। আমি তাকে ভোট দিয়েছি, কারণ সে এটি প্রাপ্য। তার এটা চালিয়ে যাওয়া এবং নিজের খেলাটা উপভোগ করা উচিৎ।’

এখন পর্যন্ত ব্যালন না জেতা সালাহ এবারও দুইবার ছিলেন সেরা পাঁচে। তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে তার নামটাও প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কারের জন্য উচ্চারিত হচ্ছে। অ্যানফিল্ডের ক্লাব লিভারপুলের হয়ে তিনি চলতি মৌসুমে ২০–এর বেশি গোলে অবদান রেখেছেন। এ নিয়ে টানা আট মৌসুমেই তিনি ওই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। গোল্ডেন বল জেতা প্রসঙ্গে সালাহ বলেন, ‘বিশ্বের সেরা পুরস্কার জয়? এটি কঠিন। মানুষের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আমি শুধু নিজের সেরাটা দিতে চাই, যা দলের সর্বোচ্চ অর্জন পেতে প্রয়োজন।’

৩২ বছর বয়সী এই তারকার সঙ্গে আগামী জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে লিভারপুলের সঙ্গে। এরপর তিনি হয়ে যাবেন ফ্রি এজেন্ট। সে কারণে তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন ক্লাব ভবিষ্যৎ গন্তব্য হতে পারে বলে খবরে আসছে। যদিও তিনি থাকতে চান অলরেড শিবিরেই, ক্লাবটি তার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যেতে পারে বলেও রয়েছে গুঞ্জন। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভাপুলের হয়ে ১৮ ম্যাচে সালাহ’র গোল ১৭ এবং অ্যাসিস্ট ১৩টি।