ফ্যাসিবাদের পতনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

প্রকাশিত:শনিবার, ০৪ জানু ২০২৫ ০৫:০১

ফ্যাসিবাদের পতনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হলেও ঐক্যের যুদ্ধে ব্যর্থতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, সবাইকে সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি সত্য, সুন্দর, সুখী, সমৃদ্ধ, প্রেমময় বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। আমরা গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রকে চর্চা করি না। এখানে পর পর গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আত্মসমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি। কিন্তু সহনশীলতার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে চর্চা করে যদি এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা গণতন্ত্রকে লাভ করতে পারবো, অধিকারকে অর্জন করতে পারবো। গতকাল দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তী ও গুণিজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি’র মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ব্যর্থতা আমরা ৫২-৫৩ বছরেও বাংলাদেশকে একটি সুখী, শান্তিময়, প্রেমময়, ভালোবাসাময় দেশ গড়তে পারলাম না। আমরা রাজনীতি নিয়ে সংকীর্ণতায় ভুগি, আমরা নৈতিকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছি।

বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা দখল করে সেটাকে নিরঙ্কুশ করতে চায়। তারপর দেশে ভয়ভীতির আরেক সিরিয়াস ফোবিয়া তৈরি করে যাতে করে কেউ কোনো কথা না বলতে পারে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি। সেই জায়গা থেকে একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবো। প্রফেসর জাহেদা পারভীনের সভাপতিত্বে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম আল আব্দুল্লাহ, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, প্রফেসর আব্দুল জব্বার, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ ন ম গোলাম রব্বানী, যশোর এমএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তসলিম উদ্দিন, দিনাজপুর কেবিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুল হক প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কলেজের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে তিনি বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জেলা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, দিনাজপুর সরকারি কলেজ একটি গৌরবময় প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে বহু শিক্ষক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সফল ব্যবসায়ী, নেতাকর্মীরা বের হয়ে এসেছে। এখন সুযোগ এসেছে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার। উল্লেখ্য, দিনাজপুর সরকারি কলেজে ৭২ থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত অর্থনীতি বিভাগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শিক্ষকতা করেছেন।