এবার লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার, ০৬ জানু ২০২৫ ১২:০১

এবার লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১১ বছর আগে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় লতিফ বিশ্বাসসহ ৫৬ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলকুচি পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তার স্ত্রী বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস, ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাস, বেলকুচি পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, বেলকুচি সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান, রাজাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাহার সিদ্দিকীসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন ২০০ জন।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর বেলকুচি পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতী বাজারে বিএনপির মিছিলে হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে যুবদল নেতা আব্দুল হালিম সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। রোববার রাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম এজাহারে বাদীর বর্ণনার বরাত দিয়ে বলেন, ঘটনার দিন সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের হুকুমে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে বাদী হালিম, জুল হক ও কিবরিয়াসহ তিনজনকে গুলি করে গুরতর আহত করেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে মামলা করতে বিলম্ব হলো বলে মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।

এর আগে রোববার দুপুরে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তারের পর সেনাক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় এনায়েতপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৫ পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাকে দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।