সংখ্যা নয়, গুণগত গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ উপাচার্যের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৭ জানু ২০২৫ ০২:০১

সংখ্যা নয়, গুণগত গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ উপাচার্যের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশের সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তবে সংখ্যাভিত্তিক গবেষণায় নির্ভরশীল না হয়ে চিকিৎসক-শিক্ষকদের আরও গুণগত গবেষণা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক শাহিনুল আলম বলেন, বিএসএমএমইউতে সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয়। শুধু গবেষণার সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণামূলক।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে গবেষণার মাধ্যমে যাতে রোগীরা উপকৃত হন সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় উপাচার্য তার বক্তব্যে গবেষণার কারিগরি ও ফান্ডের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, উন্নতমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। গবেষণার বিষয়ে যারা ফ্যাকাল্টির দায়িত্বে থাকেন তাদেরকে আরো সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলদার বলেন, শুধু কথায় নয়, গবেষণার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে বিএসএমএমইউতে সেন্ট্রাল রিসার্চ সেন্টার চালু করা হবে। জার্নাল ক্লাবকে ঢেলে সাজানো হবে। গবেষণার দায়িত্বে যারা থাকবেন অবশ্যই তাদের গবেষণার জন্য অধিক সময় দিতে হবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুরসহ আরও অনেকে।

তারা বলেন, শুধু পাশের জন্য থিসিস করা বা দায়সারা ধরনের গবেষণা করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন গবেষণার দিকে মনোযোগী হতে হবে। এমন যেন না হয় যে, একই ধরনের থিসিস বা গবেষণা একটু পরিবর্তন করে নতুন মোড়কে সাজানো হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহল আমিন, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, বিএসএমএমইউর জার্নালের এডিটর অধ্যাপক ডা. এম মোস্তফা জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. ফেরদৌস হাকিম, উপাচার্যের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ