ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৭ জানু ২০২৫ ১২:০১

ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

জবি: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ফেলানী হত্যার বিচার, ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ ও অসম সব চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে ‘সীমান্ত মানুষ মরে, প্রশাসন কি করে’ ‘ওয়াসিব সাইদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফেলানি হত্যা দিচ্ছে ডাক, সিমান্ত হত্যা নিপাত চাই’, ‘বাতিল করো বাতিল করো, অসম চুক্তি বাতিল করো’সহ নানা স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ফেলানীসহ সকল হত্যার বিচার আমরা চাই। ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ্যে এনে অসম চুক্তি বাতিলেরও দাবি জানান তারা।

এসময় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো সীমন্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের উপর গুলি চালাচ্ছে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা। এমনকি তাদের চির শত্রু পাকিস্তান সীমান্ত এমন ভাবে গুলি চালাচ্ছে না। এতটা আগ্রসনের পরেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করেছে। এখন আর ফ্যাসিস্ট সরকার নাই অতএব গত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব বলেন, আজকে ফেলানী হত্যার চোদ্দ বছর পার হলে এখনো এর বিচার দেখতে পাইনি। এই বিচারহীনতা প্রমাণ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কি রকম। ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের ইন্ধনে ভারতীয় মিডিয়াগুলো প্রচার করছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে যেসব অসম চুক্তি আছে তা বাতিল করতে হবে। এছাড়া ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে যেসব হত্যা হয়ছে তার বিচার আমরা চাই।

এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর রামখানা অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হন কিশোরী ফেলানী। দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল তার মরদেহ।