জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ‘চুয়া সেলিম’ আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০৯ জানু ২০২৫ ০৪:০১

জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ‘চুয়া সেলিম’ আটক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবশেষে সন্ধান মিলেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমের। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৮ জানয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে তার অবস্থান শনাক্ত করে র‌্যাব।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু বলেন, রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ দুই মাদক কারবারি চুয়া সেলিম ও ভূঁইয়া সোহেল। কিছুদিন আগে সিলেটে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে ভূঁইয়া সোহেল।

তিনি বলেন, ভূঁইয়া সোহেল গ্রেপ্তার হলেও কোনোভাবে এই চুয়া সেলিমের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। গতরাতে খবর আসে চুয়া সেলিম ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি, ওই খবরে হাসপাতালে গিয়ে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। তাকে আটক দেখানোর পর ধানমন্ডি থানা পুলিশ ডেকে সোপর্দ করা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি চুয়া সেলিম হত্যা, অস্ত্র লুট, মাদকসহ অন্তত এক ডজন মামলার আসামি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই রাজধানীর দুটি থানার অস্ত্র লুট হয়ে যায়, থানা দুটি হলো আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানা।

পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক দাখিল করা একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা আক্রমণ করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ সব জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে ভাঙচুর ও থানায় অগ্নিসংযোগ করে। ৫ আগস্টের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য থানার মতো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে এ দুটি থানাও।

পুলিশশূন্য থানা দুটির কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলো নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইতোপূর্বে তাদের সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমা ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার থাকলেও গত ১৮ ও ১৯ আগস্টের সংঘর্ষে চুয়া সেলিম ও ভূঁইয়া সোহেল গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে পুলিশের ব্যবহৃত পিস্তল আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়, যা দুই থানার লুট করা। গত ৫ আগস্টের পর মাদক কারবারি চুয়া সেলিম ও সোহেলের দ্বন্দ্বের জেরেই ক্যাম্পে ৭ জন খুন হন। এসব খুনের মামলার অন্যতম আসামি চুয়া সেলিম।