কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামকে চাঁদাবাজি ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মারধরের মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রৌমারী উপজেলা শহরের খাদ্যগুদাম চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রৌমারী থানা পুলিশ। রফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই ফজলুল রহমান ফলু অভিযোগ করে বলেন, বড় ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি করে কোনোদিন ক্ষতি করেনি। দীর্ঘদিন যাপত তিনি ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত। পুলিশ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

রৌমারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বলেন, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষক-কর্মচারীদের হুমকি, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।