৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:সোমবার, ১৩ জানু ২০২৫ ০২:০১
বিশ্বে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুকেশ অম্বানি। বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি। তার বিলাসবহুল সম্পত্তির মধ্যে অন্যতম হলো আকাশচুম্বী বিলাসবহুল বাসভবন অ্যান্টিলিয়া।
২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ব্যক্তিগত বাসভবনের তকমা দেওয়া হয় আম্বানীর বাড়িকে। ২৭ তলা বাড়ির উচ্চতা ১৭৩ মিটার। ৪ লাখ বর্গফুটের বাসভবনে রয়েছে তিনটি হেলিপ্যাড ১৬৮ টি গাড়ি রাখার জন্য গ্যারেজ।
এত বড় বাড়িতে শুধুমাত্র ২৭ তলাতেই থাকেন আম্বানিরা। বাড়ির আর কোনও তলায় থাকা বারণ পরিবারের সদস্যদের। কঠোর এই নির্দেশ নাকি দিয়েছেন নীতা আম্বানির।
কিন্তু কেন এমন নিয়মে বেঁধেছেন সবাইকে তিনি। শ্লোকা-আকাশ থেকে পরিবারের সবাই ২৭ তলাতেই থাকেন। এমনিতেই তারা বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলেন। তবে এক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্র নয় প্রত্যেকের ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসে সে কারণেই বাড়ির সবচেয়ে উপরের তলা বেছে নেওয়া।
এই বাড়িতে রয়েছে ৯টি হাইস্পিড এলিভেটর, একটি ৫০ আসনের থিয়েটার, ছাদ-বাগান, স্যুইমিং পুল, স্পা, হেলথ সেন্টার, মন্দির এবং স্নো রুম। শুধু তাই নয়, ৮ ম্যাগ্নিচিউডের ভূমিকম্পও সামলে নিতে পারবে অ্যান্টিলিয়া।
৪৫৩২ বর্গমিটার এলাকার উপর অবস্থিত অ্যান্টিলিয়া। এই ভবনে ৬০০ জন গৃহকর্মী থাকারও বন্দোবস্ত রয়েছে। ২০১১ সালের জুন মাসে ৫০ জন বিশেষ পণ্ডিতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পুজা ও যজ্ঞ করান আম্বানি পরিবার।
বাস্তু বিশেষজ্ঞকে দিয়ে অ্যান্টিলিয়ার বাস্তুদোষ কাটানোর ব্য়বস্থা করেন তারা। শোনা যায়, সেই বাস্তু বিশেষজ্ঞ নাকি প্রতি ঘণ্টায় ১৫ লাখ টাকা চার্জ করেন। তারপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে পাকাপাকি ভাবে অ্যান্টিলিয়ায় বাস শুরু করেন মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১