ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ফারুক ই আজম

প্রকাশিত:শনিবার, ২৫ জানু ২০২৫ ০৩:০১

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ফারুক ই আজম

বরিশাল: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টির পেছনে বহু মুক্তিযোদ্ধার হাত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে এটা হয়েছে।

এগুলোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদকেও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এমন একটা উদ্যোগের মধ্যে যাচ্ছি যে, যারা অমুক্তিযোদ্ধা থেকে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারব।
শনিবার (২৫ জানুয়া‌রি) বেলা ১২টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে বিভাগের সব জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আইন পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হলে আমরা সেগুলো কার্যকর করব। আমরা একটা অপশন রাখছিলাম, তবে সেটা এখনো ঘোষণা করি নাই। যারা স্বেচ্ছায় চলে যেতে চায়, তারা যেন এ সুযোগটা গ্রহণ করে। অনেকে আমাদের কাছে চেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যারা সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মতবিনিময় সভা প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, পূর্বে বিভিন্ন উপজেলায় যেসব পিআইও কর্মরত ছিলেন তাদের পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সব স্থানে যারা যোগদান করেছেন তাদের কাছে গত তিন বছরে কী কাজ হয়েছে, তার ফিরিস্তি চাওয়া হয়েছে। তার একটা ডেটাবেইজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে। এবার যে বরাদ্দ হয়েছে তা যথাযথভাবে যাতে করতে পারে এ জন্য দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব উন্নয়ন কাজ অধিকতর জনসম্পৃক্ত, জনগণের কল্যাণের প্রয়োজন সেই কাজগুলো অগ্রাধিকার হিসেবে গ্রহণ করে। সে ক্ষেত্রে আরও বরাদ্দের প্রয়োজন হলে জবাবদিহিতার আলোকে তার মূল্যায়ন করা হবে। টিআর, কাবিখা বা কাজের বিনিময়ে খাদ্যসহ এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে নানা প্রকল্পে আগে কঅ ধরনের কাজ হয়েছে, সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভাগের সব জেলার কর্মকর্তারা।