জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ৩৪ দিনের মাথায় সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সেক্রেটারি সুজন মোল্লার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কলা ভবনের সামনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কমিটির নেতারা।

গত ২৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক এবং বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। কমিটি ঘোষণার পরই ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, অর্থের বিনিময়ে কমিটি, মাইম্যান, সিন্ডিকেট ও ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে প্রতিদিনই আন্দোলন করে যাচ্ছিলো পদবঞ্চিতরা। তবে এ সব পদবঞ্চিতদের খুব শিগগিরই কমিটি বর্ধিত করার মাধ্যমে পদায়ন করে কমিটি ঘোষণা করার শর্তেই সদ্য সাবেকদের নেতাদের আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নেতাকর্মীরা।

ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে মতবিনিময় সভায় শাখা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধভাবে যে সাহসী ভূমিকা রেখেছে এবং জুলাই বিপ্লবোত্তর সময়েও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ছাত্রদল যে ভূমিকা পালন করেছে আশা করি বর্তমান কমিটি সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কার্যক্রম ছাত্ররাজনীতিতে যে ইতিবাচক পরিবর্তন বিগত দিনে আমরা অর্জন করেছি সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জনাব তারেক রহমানের সাম্য,মানবিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে জবি ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই দেশের ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থেকেছে। আমি নবগঠিত কমিটির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ছাত্রদল যেন সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শ সমুন্নত রাখে।

নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ছাত্রদল সুদৃঢ়ভাবে ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও ইতিহাসের দায়কে মাথায় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। জবি শাখা ছাত্রদল একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। এখানে নেতৃত্বে আসতে ত্যাগ ও শ্রমের মূল্যায়ন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল গত কমিটির ২৮৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। এখানে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের অভিমান স্বাভাবিক। আমি তাদের এ অভিমানকে স্বাগত জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিনিয়রদের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ক্ষোভ নিরসনে কাজ করছি। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করাই আমাদের অঙ্গীকার।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজি জিয়া উদ্দিন বাসেত, শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, নতুন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, মো. শাহরিয়ার হোসেন, মো. মাহমুদুল হাসান খান মাহমুদ, কাজী রফিকুল ইসলাম, নাহিয়ান বিন অনিক, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মেহেদি হাসান রুদ্র, মো. মোজাম্মেল মামুন ডেনি, হাসিবুল ইসলাম হাসিব এবং কমিটির সদস্য রিয়াসাল রাকিব, মুবাইদুর রহমান, এম তানভির রহমান, মাহিদ খান, ইমরান হাসান ইমন প্রমুখ।