১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:রবিবার, ২৬ জানু ২০২৫ ০১:০১
নরসিংদী রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন আলম নামে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থেকে বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। এতে টেঁটা ও বন্দুকযুদ্ধে প্রাথমিকভাবে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দের জের ধরে এই দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই সব সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তির নিহত এবং আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা ও পাল্টা মামলা রয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে। এসবের জের ধরে রোববার সকালে ‘যুদ্ধের ডাক’ দিয়ে দুই পক্ষ টেঁটা, বললম, দাঁ, ছুরি ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আশরাফুল চেয়ারম্যানের সমর্থক আলমগীর হোসেন আলম। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী, বাহ্মণবাড়ীয়র নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবীর বাসার বলেন, আলমগীর নামে একজনকে মৃত অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হাসান রাতুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামে লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাকির হাসান রাতুল সমর্থিত দুইজন ও আশরাফুল ইসলামের একজন নিহত হওয়ার খবর প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। দু’পক্ষ বাঁশগাড়িতে ঝগড়া শেষে এখন আবার মির্জাচরের দিকে যাচ্ছে— এমনটা খবর পেয়েছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১