১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ২৯ জানু ২০২৫ ০৩:০১
বিগত সরকারের মতো মেটার কাছ থেকে কোনও ব্যক্তির পোস্ট ডিলিট করা কিংবা নাগরিক হয়রানির কোনও তথ্য চায় না সরকার। কেবল ক্রিপ্টো কারেন্সি কিংবা আর্থিক জালিয়াতির ক্ষেত্রে তা চায়। নাগরিক আপত্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে বেশ কিছু বিষয় সংশোধিত হয়েছে। তবে যে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। সময় অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স হলে ১৯তম বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের ‘বহুপক্ষীয় ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, ফেসবুক, গুগলের সার্ভার দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব সার্ভার দেশে না থাকায় অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছে। দেশে সিডিএন সার্ভার নেই, ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন সার্ভার নেই। ফলে আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ওপর কোনও সভরেন্টি নেই।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারপার্সন আমিনুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সাইদ মো. কারুজ্জামান, এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স অ্যানালিস্ট সুবহা শামারুখ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল এর শারমিন খান, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্যানেল আলোচনায় ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ ব্যর্থ একটা আইন ছিল উল্লেখ করে বলেন, জনগণের অধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা এই দুটো বিষয়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলো বিগত সরকার। এটাই ছিল বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মানুষকে জব্দ করার বড় অস্ত্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খলিল উর রহমান বলেন, ‘আইন নয়; গাইড লাইন ও সচেতনতা বাড়িয়ে ইন্টারনেটে সুরক্ষা সম্ভব’। ইন্টারনেটকে কখনোই বন্ধ করা যাবে না। কারণ এটা এখন মৌলিক মানবাধিকার। তাই এর যৌক্তিক ব্যবহার বাড়াতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তরুণ, আমলা ও রাজনীতিকদের আগ্রহ কম। আমাদের এদিকটায় নজর দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইন্টারনেটের মালিক কেউ না, ইন্টারনেট সবার।
সামাজিক দায়বদ্ধতা তববিল (এসওএফ ফান্ড) নিয়ে তিনি বলেন, দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবার জন্য এ ফান্ড ব্যয় হয়। কারও যদি এ সংক্রান্ত কোনও আইডিয়া থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হাকিম বলেন, আইন নয় সচেতনতা দিয়ে এই গ্লোবাল ভিলেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদেরকেই ইন্টারনেটে করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। ইন্টারনেট কোনও প্রযুক্তি নয়। ইন্টারনেট আমাদের ডিজিটাল রাইটস। কোনও সরকার যেন আর ইন্টারনেটকে বন্ধ করতে না পারে এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইজিএফ এর মহাসচিব এম এ হক অনু।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১