১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৩০ জানু ২০২৫ ০৪:০১
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির রেগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে স্থানীয় সময় বুধবার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে মাঝ আকাশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সব আরোহী নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ক্রুসহ ৬৪ জন মানুষ ছিলেন। অপরদিকে হেলিকপ্টারে ছিলেন তিন সেনা। সংঘর্ষের পর দুটি উড়োজাহাজই পোটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়।
ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার সার্ভিস প্রধান জন এ ডনলি বলেছেন, “আমরা মনে করছি না কেউ বেঁচে আছেন। এখন পর্যন্ত বিমান থেকে ২৭টি এবং হেলিকপ্টার থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান আরও জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৮টা ৪৮ মিনিটের দিকে তারা দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে যেসব উদ্ধারকারী গিয়েছিলেন তারা বিরূপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “আবহাওয়া খুবই খারাপ ছিল। উদ্ধারকারীরা গিয়ে তীব্র বাতাস, নদীর পানিতে বরফ জমা দেখতে পান। তারা সারারাত এমন পরিস্থিতিতেই কাজ করেছেন।”
নদীর যে স্থানে বিমানটি পড়েছে সেখানে কোমড় সমান পানি। তবে এটি নদীতে টুকরো টুকরো হয়ে উল্টো হয়ে পড়ে। ফলে সংঘর্ষের পরও যদি কেউ বেঁচে থেকে থাকেন, তিনিও হয়ত বিমান উল্টে পড়ার কারণে মারা যান। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় সবমিলিয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হওয়ার মাধ্যমে ২৪ বছর পর নিজেদের ইতিহাসে বড় বিমান দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করল যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পর নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর এটি আবারও চালু করে দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১