৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ৩১ জানু ২০২৫ ০১:০১
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা গুলশান-মহাখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। তিনি দীর্ঘক্ষণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেও অবরোধ প্রত্যাহার করাতে পারেননি। শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ করার তাৎক্ষণিক ঘোষণার দাবি করেন। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান যুগ্মসচিব।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন। তারা গণঅনশন, রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, যুগ্মসচিব তাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি হলো
১. তিতুমীর কলেজকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম আইন এবং সাংবাদিকতা বিষয় চালু করতে হবে।
৫. অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার তৈরি করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং ন্যায়সঙ্গত। আশা করা যায়, সরকার খুব শিগগিরই দাবিগুলো মেনে নেবে এবং তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১