নিখোঁজের ৩ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রু ২০২৫ ০২:০২

নিখোঁজের ৩ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা উদ্ধার

ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা মামুনকে (২১) উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভালুকা পৌর এলাকা থেকে ছাত্রদল নেতা মামুন নিখোঁজ হন। তিনি নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর সংকরপুর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি।

এ ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভালুকা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে নিখোঁজ মামুনের বড় ভাই মো. ইসলাম উদ্দিন।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুলিশি হয়রানির কারণে ভালুকা এলাকায় রোমান কম্পোজিট মিলে চাকরি নেন মামুন।

ভালুকাতেও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ফলে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় সমন্বয়ক হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে তার অংশগ্রহণ ছিল। এরই মাঝে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারাদেশ যখন উত্তাল সেই দিন মামুন তার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমে আসেন।

মিছিলে এসে পরিচয় হয় তোফাজ্জলের সাথে। ওইদিন সন্ধ্যায় গাজীপুরের জৈনাবাজার এলাকা থেকে হাজার হাজার ছাত্র, জনতা ও শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে ময়মনসিংহের দিকে আসার পথে ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ায় এলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় মামুনের সামনে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হন তোফাজ্জল হোসেন। আহত তোফাজ্জলকে মামুন উদ্ধার করে প্রথমে জামিরদিয়া পপুলার হাসপাতালে পরে

জৈনাবাজার এলাকায় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জলের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এরপর তোফাজ্জলকে বাঁচানোর জন্য গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সব ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছাত্রনেতা মামুন।