৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:শনিবার, ১৫ ফেব্রু ২০২৫ ০৩:০২
জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ ‘বিনোদন ভাই’-এর মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মো. শফিকুল ইসলামের (১৮) বড় ভাই মো. শাহাদাৎ হোসেনের (২৪) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ‘বিনোদন ভাই’ খ্যাত বনি আমিনের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিচন্না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহাদাতকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে মো. শফিকুল ইসলাম ও বনি আমিন যৌথভাবে ‘বিনোদন ভাই’ নামে ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করছিলেন। পেজটি মনিটাইজেশনের আওতায় আসার পর বনি আমিন এককভাবে মালিকানা দাবি করেন, যা নিয়ে শফিকুলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর থেকেই শফিক পেজের কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন।
স্থানীয়দের দাবি, পরিচিতি ও আর্থিক লাভের কারণে বনি আমিন তার পুরনো সহযোগী শফিকুলকে সরিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে শফিকুলের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। যে ঘটনার জের ধরে শফিকুলের বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে বনি আমিন ও তার সহযোগীরা শাহাদাতকে পিটিয়ে তার হাত ভেঙে দেন।
আহত মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু আমার ভাইয়ের ন্যায্য হিস্যার জন্য বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কারণে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অভিযুক্ত বনি আমিন হামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি শাহাদাতকে মেরেছি এটা সত্যি, তবে টাকার কারণে নয়। আমাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে, তাই মেরেছি।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকাল বনি আমিন থানায় ফোন করে অভিযোগ করেছেন যে, তার ওপরও হামলা হয়েছে এবং তিনি মামলা করতে চান।’
হামলার পর থেকে শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। তারা দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১