অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

প্রকাশিত:শুক্রবার, ২১ ফেব্রু ২০২৫ ০১:০২

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে সদ্য পদায়ন পাওয়া পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক এবং শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি বিতর্কিত মাউশির ডিজিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এমন সিদ্ধান্ত এলো।

এদিন রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, অধ্যাপক এহতেসাম উল হককে ওএসডি করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে মাউশির মহাপরিচালক হিসেবে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মুহাম্মদ আজাদ খানের এই চলতি দায়িত্ব কোনো পদোন্নতি নয়। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, চলতি দায়িত্ব প্রদানের কারণে তিনি পদোন্নতি দাবি করতে পারবেন না। এ ছাড়া নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ হলে ওই কর্মকর্তা যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ বাতিল করা হবে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি এহতেসাম উল হককে মাউশির ডিজি পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

ড. এহতেসাম উল হক ৫ আগস্টের আগে বরিশালে মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক আচরণসহ আন্দোলনকারীদের তথ্য পুলিশের কাছে তুলে দেন অধ্যক্ষ।

৫ আগস্টের তার অপসারণের দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমন অভিযোগ তুলে তার অপসারণ চায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, এহতেসাম উল হক ২০২১ সালের জুন মাসে এ কলেজে যোগদান করেন। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র ও শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর ছিলেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তার মেয়াদকালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। জুলাই আন্দোলনে কলেজ থেকে সব ধরনের অসহযোগিতা করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি কলেজের গাড়ি পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতেন। গাড়িটি বাসার বাজার করতে ব্যবহার হতো। শ্বশুর বাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। কলেজের বিদ্যুৎ দিয়ে কলেজের অভ্যন্তরে অধ্যক্ষ নিজস্ব কলেজ অ্যাভিনিউর বাসার গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি, এসিআর খারাপ করে দেওয়ার হুমকি দেন। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে বেতন না দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ