১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মার্চ, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রু ২০২৫ ০৩:০২
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার পদত্যাগ করেছেন। নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার রাতে (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক বার্তায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সার্ভিস নগদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট ২৭ ফেব্রুয়ারি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নগদের বর্তমান প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করে এবং বিল্লাহকে প্রশাসক পদে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অফিস করছেন না।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গত সেপ্টেম্বরে হুমকির অভিযোগ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বদিউজ্জামান। জিডিতে তিনি নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন গভর্নর এসে ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি একাধিক কর্মকর্তা ও ডাক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাকে সহকারী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, নগদে নানা অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার চিত্র ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে। এজন্য পুরোনো কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছেন।
নগদ লিমিটেড ব্যাংকে জমা অর্থের অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক মানি অর্থ তৈরি করেছে, এমন অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলায় সরকারের ডাক বিভাগের আটজন, সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি), নগদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) আসামি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সরকার আমির খসরু বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক মানি বা ই-মানি তৈরি ও নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১