ঢাকা ডিডির পদত্যাগ চেয়ে মাউশিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৩

ঢাকা ডিডির পদত্যাগ চেয়ে মাউশিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

বিভিন্ন স্কুলে শিফট ইস্যুতে এমপিওভুক্তিতে শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি শিক্ষকদের আলাদা কোড এনে দেওয়ার জন্য অযাথিতভাবে হস্তক্ষেপ করে সাত মাস ধরে শিক্ষকদের এমপিও আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজন্য তার অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষাকরা একই দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

লিখিত আবেদনে তারা বলেন, আমরা ঢাকা অঞ্চলের ডাবল শিফট ও একক শিফটের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত বছরের ১ থেকে ৮ অক্টোবর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে ইএমআইএস সেলে এমপিওর জন্য আবেদন করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় দীর্ঘ ৭ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত আমাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বর্তমানে আমাদের ফাইল ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমরা ঢাকা আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে ফাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনও সুফল পাইনি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগদান করা অন্য বিভাগের ডাবল শিফট এবং একক শিফটের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি তাদের ইএফটিতে বেতন দেওয়া হচ্ছে।

লিখিত অভিযোগে আরও জানানো হয়, ঢাকা আঞ্চলিক উপপরিচালকের (ডিডি) কাছে পরবর্তীতে ফাইলের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে শিক্ষকদের কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। অনেককে তিনি তার রুমে প্রবেশ পর্যন্ত করতে দেননি। তাই আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই। আমরা ঢাকা শহরের মতো ব্যয়বহুল জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনা বেতনে দীর্ঘ সাত মাস যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছি। প্রকৃতপক্ষে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শিগগিরই আপনার শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একই সঙ্গে ঢাকা আঞ্চলিক উপ পরিচালকের (ডিডি) অপসারণ দাবি করেন তারা।