২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মার্চ, ২০২৫ ইং
প্রকাশিত:শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। অভিনব পদ্ধতিতে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে কিংবা বিভিন্ন উক্তি দিয়ে এখন রনি নেটিজেনদের মুখে মুখে। প্রায় একই সময়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়েগো সিমিওনে আর পুরো ক্লাবটাও জড়িয়ে পড়েছে তরমুজের সঙ্গে। তবে শুধু বাংলাদেশ না, ডিয়েগো সিমিওনে আর তরমুজের রসায়ন পুরো বিশ্বেই বেশ সমাদৃত।
সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পর ফের তরমুজ ফল আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ নিয়ে সয়লাব ইন্টারনেটের দুনিয়া। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে স্পেনের মাদ্রিদ, সবাই তরমুজের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে। কিন্তু কী করে একে অন্যের সঙ্গে এই সংযোগের শুরু, সেটার উত্তরও খুঁজছেন অনেকে।
সুস্বাদু এবং রসালো ফল তরমুজকে নিজের ভাগ্যে জড়িয়ে নিয়েছিলেন সিমিওনে নিজেই। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাউন্ড অব সিক্সটিনে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। সেবারে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় অ্যাতলেটিকো। সেই ম্যাচের পরেই আত্মবিশ্বাসী সিমিওনে বলেছিলেন, ‘পরের ম্যাচে জুভেন্টাস অ্যাগ্রিগেটে ফিরে আসতে পারলে তিনি মাদ্রিদের রাস্তায় তরমুজ বিক্রি করবেন।’
দূর্ভাগ্যবশত মার্চ মাসের ১৩ তারিখের সেই খেলায় ৩-০ গোলে হেরে বসে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তুরিনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। আরও একটাবার রোনালদোর জাদুতে পরাস্ত হয়েছিলেন ডিয়েগো সিমিওনে। তবে রোনালদো মাদ্রিদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলেই কি না, এর রেশ চলতে থাকে পরের বছরগুলোতেও।
মূলত সেই ম্যাচের পর থেকেই মাদ্রিদ ডার্বি এলেই সিমিওনের নামের সঙ্গে জুড়ে বসে তরমুজের নাম। চলতি বছরেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। সেটাকে আরও খানিকটা জাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা রনি। দুজনের মধ্যে ভৌগলিক ব্যবধান দুই মহাদেশের হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পাশাপাশি বসিয়েছে রনি এবং ডিয়েগো সিমিওনেকে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবশ্য সিমিওনে এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তরমুজের সখ্যতা বেশ আগের। আর্জেন্টাইন কোচ অবশ্য নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। অতি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করা মন্তব্যটাই যে এখন তার জন্য বড় আপদ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম. দেলোয়ার হোসেন
অফিস: অফিস: রোম নং-৫, নীচতলা, ১৭-১৮, বাইন কোর্ট, হোয়াইটচ্যাপল, লন্ডন।
মোবাইল: ০৭৩৭৭-৯৫১৬৮১