পারিবারিক দ্বন্দ্ব, কিলঘুষিতে আ.লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ ০১:০৩

পারিবারিক দ্বন্দ্ব, কিলঘুষিতে আ.লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ

কুমিল্লা: পারিবারিক কবরস্থানের মালিকানা ও মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষের ধস্তাধস্তি ও কিলঘুষিতে কাহারুল মুন্সী (৫৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২০ মার্চ) রাতে জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কাহারুল মুন্সী চাপিতলা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ও চাপিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্সী বাড়ির একটি পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তার চাচা জীবন মুন্সী ও জাহাঙ্গীর মুন্সীর পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। কবরস্থানের পাশে এলজিইডির খাল কাটার চলমান কার্যক্রমের সুবাদে কবরস্থানে কিছু মাটি দেওয়ার জন্য ভেকুর চালক ও ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন কাহারুল মুন্সী।

তার অনুরোধে বুধবার রাতে কবরস্থানে মাটি দেওয়া হবে, এমন খবর পেয়ে জীবন মুন্সী, জাহাঙ্গীর মুন্সী ও তার ছেলে আবদুল্লাহ কবরস্থানের কাছে এলে কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে ধস্তাধস্তি ও পাল্টাপাল্টি কিলঘুষি মারা চলতে থাকে।

এ সময় লাগাতার কিলঘুষিতে কাহারুল মুন্সী অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাপিতলা নুরজাহান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেবিদ্বার হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় কাহারুলের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ