আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, মহিলা দল নেত্রীকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ ০৩:০৩

আপত্তিকর ছবি ভাইরাল, মহিলা দল নেত্রীকে অব্যাহতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়ায় ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি আফসানা মিমিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে একই দোষে অভিযুক্ত হয়েও এখন পদে বহাল রয়েছেন ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খান সানী।

শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক নাদীরা ইয়াসমীন রীতা যৌথ স্বাক্ষরে এক চিঠিতে এই অব্যাহতির আদেশ দেন।

ইন্ডিপেন্ডেন্টভয়েস ২৪.কম কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত আফসানা মিমি গফরগাঁও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি এবং দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি। তবে সংগঠনের চিঠিতে আফসানা মিমিকে গফরগাঁও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি পদ বহাল রয়েছে।

সংগঠন সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে মহিলা দল নেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গে ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খান সানীর কিছু আপত্তিকর ছবি ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে দলীয় পরিমন্ডলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে এই মহিলা দল নেত্রীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে একই দোষে দোষী হয়েও এখনো পদে বহাল রয়েছেন ভালুকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খান সানী।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা লুৎফর রহমান খান সানী ইন্ডিপেন্ডেন্টভয়েস ২৪.কম কে বলেন, কেন বা কীভাবে ছবি ভাইরাল হয়েছে আমি এসবের কিছুই জানি না। তবে তিনি (আফসানা মিমি) আমার পরিচিত, ভালুকাতেই উনার বাবার বাড়ি। আমরা একই দলের রাজনীতি করি।

জানতে চাইলে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান রানা বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

তবে ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন আফসানা মিমির স্বামী গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্টভয়েস ২৪.কম বলেন, ষড়যন্ত্র করে এসব ছবি এডিট করে ছড়ানো হয়েছে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য। ইতোমধ্যে ছবিগুলোর বিষয় নিয়ে ঢাকার দক্ষিণখান থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এতে লুৎফর রহমান খান আসামিসহ আরও কয়েকজন আসামি হয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি নিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে তদন্ত চলছে।

ফখরুল আরও দাবি করেন, ঘটনাটি তদন্ত না করেই তড়িঘড়ি করে আফসানা মিমিকে শুধুমাত্র উপজেলার কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো তিনি জেলা কমিটির সহসভাপতি পদে বহাল আছেন।